ব্লগিং করার ইচ্ছা জাগে শখের বসেই।অনেকে অনেক কবিতা লিখতে পারেন অথবা অনেক ভালো গল্প লিখতে পারেন।আর লিখা থেকেই ব্লগিং করা শুরু হয়ে যায়।অনেকে ব্লগিং করতে যেয়েও থেমে যায় কারন হচ্ছে কিভাবে ব্লগিং শুরু করবে তা বুঝতে না পারা। ব্লগিং করা খুব সহজ এবং ব্লগিং করেই আয় করা যায়।এই ব্যাপারটি আমরা বেশিরভাগ ছাত্রজীবন অবস্থায় শুরু করতে চাই।
আমরা অনেকেই অনলাইনে লেখালেখি করতে চাই। আবার আমরা চাই যে আমাদের লেখাগুলো যেন পৃথিবীর সকল মানুষই যেকোনো প্রান্তে বসে পড়তে পারে অথবা আমাদের লিখা গুলো বাংলাদেশের সবাই পরতে পারে। আমরা বেশিরভাগ ছাত্রজীবন অবস্থায় ব্লগিং শুরু করতে চাই। ব্লগিং করে লেখালেখি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে।
আপনি চাইলে আমাদের ShopTips24.Com সাইটেও লেখালেখি করতে পারেন। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো- ব্লগার এবং ওয়াডপ্রেস। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ এই দুইটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আসছেন।যদিও আরো প্লাটফর্ম আছে তারপরও এই ব্লগার এবং ওয়াডপ্রেস মানুষ বেশি লিখালিখির কাজ করে থাকে।
ব্লগিং করার শুরুতে ব্লগার দিয়ে করলে যে সুবিধাগুলো পাবেন
ইউটিউব (YouTube) যেমন গুগুলের একটি প্রোডাক্ট ঠিক তেমনি ব্লগার (Blogger) হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট। আমরা সবাই জানি গুগল আমাদের জন্য প্রায় সব কিছু ফ্রিতে দিয়ে থাকে। আপনি এখানে নতুন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন। ব্লগিং করার শুরুতে ব্লগার দিয়ে করার সুবিধা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে।এই সুবিধাগুলো নিচে একটি একটি করে উল্লেখ করা হলো।
ফ্রি ডোমেইন পাওয়া যায়
ব্লগিং করার শুরুতে ব্লগার দিয়ে করলে ফ্রি ডোমেইন পাওয়া যায়। এখানে প্রথমে ডোমেইন কিনতে হয় না।আগেই বলেছিলাম ব্লগার (Blogger) হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট।আর আমরা সবাই জানি গুগল আমাদের জন্য প্রায় সব কিছু ফ্রিতে দিয়ে থাকে। তাই আপনারা এখানে ফ্রি ডোমেইন পাবেন।কিন্ত এখানে .com .net .org .info ডোমেইন ফ্রিতে পাবেন না।কিন্তু ব্লগার ডোমেইন এর সাবডোমেইন ফ্রি পাবেন।আপনি বগ্লার দিয়ে শুরু করলে আপনি ফ্রি ব্লগারের সাব ডোমেইন পাবেন।উদাহরণ Shoptips24.blogger.com এই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। এটি যেহেতু গুগলের একটি প্রোডাক্ট তাই এডসেন্স পেতে সমস্যা হয় না।
আপনি যদি ব্লগার ছাড়া ওয়াডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করি। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি .com , .net , .org , .in , .co অথবা সস্তা ডোমেইন
Xyz ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন কিনে তারপর আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে ব্লগারেও এই ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন।আবার এই ডোমেইনটি আপনাকে প্রতিবছর সার্ভিস চার্জ দিয়ে রিনিউ করতে হবে।
তাই বলা বাহুল্য যে ব্লগিং করার শুরুতে ব্লগার দিয়ে করলে ডোমেইন কেনার বা ডোমেইন রিনিউ করার কোন ঝামেলা নেই। গুগোল থেকেই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটিওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধা দিচ্ছে। এটাই হলো ব্লগারের সর্বপ্রথম সুবিধা।
ফ্রি হোস্টিং পাওয়া যায়
হোস্টিং কি? হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সার্ভার যেখানে আপনার তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হবে। কিন্তু ব্লগার আপনাকে ফ্রি হোস্টিং দিচ্ছে।ব্লগার দিয়ে আপনি ব্লগিং শুরু করলে আপনাকে হোস্টিং কিমতে হবে না। আপনি যদি ওয়াডপ্রেস দিয়ে আপনার ব্লগিং শুরু করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। এই হোস্টিং বাৎসরিক চুক্তির মাধ্যমে কিনতে হয় এবং বছর শেষে আবার রিনিউ করতে হয় ঠিক ডোমেইন এর মত।
আপরা সবাই জানেন গুগলের একটি জিমেইল একাউন্টে ২৫ জিবি পর্যন্ত ফ্রি থাকে। যেটা আমরা গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করি।আপনি যখন ব্লগার শুরু করবেন তখন আপনার জিমেইল থাকা ২৫জিবি স্টোরেজ এটি ব্যবহার করে মূলত হোস্টিং হয়ে যায়। তাই বলা যায় ব্লগিং করার শুরুতে ব্লগার দিয়ে করার দ্বিতীয় সুবিধাটি হচ্ছে কোন প্রকার হোস্টিং কেনার ঝামেলা নেই। ফ্রি হোস্টিং পেয়ে যাচ্ছেন।
ফ্রি থিম পাওয়া যায়
ওয়েবসাইট আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে সাইট অবশ্যই কাষ্টমাইজ করতে হবে। আর সাইটকে আকর্ষণীয় করতে হলেই প্রয়োজন পরে থিম এর। গুগল ব্লগারের জন্য অনেক ফ্রি থিম দিয়ে থাকে। এই ব্লগার ফ্রি থিম দিয়ে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটি অনেক সুন্দর করে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।
ব্লগিং থেকে কী কী উপায় অর্থ উপার্জন করা যায়
ব্লগিং করেই মাসে ১০-২০ হাজার আয় করা সম্ভব। আপনি চাইলে ব্লগিং করেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।অথবা একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করা সম্ভব। আমি একটি ব্লগ খুলেছি মাত্র ৬ মাস হয়েছে। আমি খুব বেশি সময় দিতে পারিনা। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে সময় দেই। তারপরও প্রতিমাসে ৬-৭ হাজার টাকা করে পাই।
আরো সময় দিলে মাসে ১০-২০ হাজার আয় করা কোন ব্যাপার না। কেউ কেউ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকাও পায়। কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করবেন সে বিষয়ে আরো কিছু বিষয় জানতে পারবেন।
এখানে আপনি ব্লগিং করে কয়েকটি মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
১. গুগল এডসেন্স এডের মাধ্যমে
২. স্পন্সরশীপের মাধ্যমে
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইত্যাদি
আরো অনেক ব্লগিং থেকে আয় করার উপায় আছে।কিন্তু বর্তমানে গুগল এডসেন্স এডের মাধ্যমে ও স্পন্সরশীপের মাধ্যমে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইত্যাদি উপায় গুলো খুব জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়।
আসা করি সবার একটু হলেও উপকার হবে এই পোস্টটির মাধ্যমে। আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লাগলে সুন্দর একটি কমেন্ট করে আমাদের অনুপ্রানিত করুন।এমন ট্রিপ্স এবং ট্রিক পেতে আমাদের সাইট ShopTips24.CoM নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ার জন্য।
I believe that
is one of the such a lot important info for me.
And i am glad reading your article.
However wanna remark
on some general things, The web
site style is perfect, the
articles is truly nice : D.
Good job, cheers
wonderful as well as impressive blog site. I really wish
to thank you, for giving us better information.
অসাধারণ হয়েছে আপনার লেখাটি