বর্তমানে সবার হাতেই একটি করে ফোন আছে, হোক সেটি বাটন বা হোক সেটা এন্ড্রয়েড। আর ফোন থাকা মানেই ফোনে একটি করে সিম থাকা। আর ফোনে সিম ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট চালানোর জন্য বা প্রয়োজনীয় ব্যক্তি বা পরিবারের থেকে দূরে থাকলেও জেনো সেটি দিয়ে কথা বলা যায়। আর ফোনে কথা বলার সময় যদি ফোনের সিমের টাকা শেষ হয়ে যায় এবং কাছে যদি টাকা না থাকে বা আশে পাশে ফ্লেক্সিলোড এর দোকান না থাকে তাহলে সেটা অনেক খারাপ লাগে। এবং প্রিয়জনদের সাথে কথা বলার সময় এমন হলে তো অনেক খারাও লাগে। সেই সময় আমরা যারা পারি তারা ফোনে ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিয়ে কাজ চালিয়ে নেই। কিন্তু যারা সিমের ইমারজেন্সি কোড গুলো যানেন না তারা কি করবেন তাই না?
তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি গ্রামিণফোন (জিপি) ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড {emergency balance gp}, রবি ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড (Emergency Balance Robi), এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড (Emergency Balance Airtel), বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড (Emergency Balance Banglalink), সিক্টো ইমারজেন্সি ব্যালান্স (Emergency Balance Siktto), টেলিটক ইমারজেন্সি ব্যালান্স ( Emergency Balance Teletalk) নেওয়ার উপায়। তো চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
গ্রামিণফোন (জিপি) ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড {Grameenphone (GP) Emergency Balance Code}
গ্রামিণফোন সিমে ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে হলে আপনাকে আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে চলে যান। এবং ডায়াল প্যাডে *121*1*3# লিখে জিপি সিম দিয়ে কল করুন। এর পর একটি মেসেজ আসবে সেখানে লেখা থাকবে যে, ‘Your Request Process Successful’ এর, পরপরই আপনার ফোনে আরেকটি মেসেজ আসবে। সেখানে আপনারা দেখতে পাবেন আপনাদের ইমারজেন্সি টাকা দিয়ে দিয়েছে। আপনি গ্রামিণফোন সিমে সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ও সর্বোচ্চ কত পাবেন সেটা নির্ভর করে আপনি কেমন টাকা ব্যবহার করেন প্রতি মাসে। তবে আপনি মাসে ১০০-১৫০ এর কম টাকা ব্যবহার করলে ১৩ টাকা পাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে মাই জিপি এপ এ গিয়ে সেখান থেকেও ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে পারবেন।
রবি ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড (Robi Emergency Balance Code)
রবি সিমে আপনি ইমারজেন্সি ব্যালান্স নেওয়ার জন্য ২ টি উপায়ে নিতে পারেন। ১ম টি হলো এপ এর মাধ্যমে। এর জন্য আপনি মাই রবি এপ ডাউনলোড করে সেটা ওপেন করে ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে পারবেন। এবং অন্য ঊপায় হলো, কোড এর মাধ্যমে। এর জন্য আপনি ডায়াল প্যাডে গিয়ে *8811*1# ডায়াল করে দিন। তার পর একটি মেসেজে জানিয়ে দিবে যে আপনি ইমারজেন্সি টাকা পেয়ে গেছেন। আপনি যেমন ভাবে সিমে টাকা ব্যবহার করেন তার উপর নির্ভর করে আপনি ইমারজেন্সি টাকা পাবেন। আপনি সর্বনিম্ন ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ কত পাবেন না নির্ভর করবে আপনি কত টাকা ব্যবহার করেন প্রতি মাসে।
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালান্স কোড (Airtel Emergency balance code)
এয়ারটেল সিমেও আপনি দুই ভাবে ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে পারবেন। ১ম উপায় হলো আপনি সরাসরি এয়ারটেল সিমের অফিসিয়াল এপ মাই এয়ারটেল এপ যা প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন, সেটা ওপেন করে সেখান থেকে সরাসরি ইমারজেন্সি নিতে পারবেন। বা ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *141# বা *8# ডায়াল করে নিয়ে নিতে পারেন আপনার এয়ারটেল সিমে ইমারজেন্সি ব্যালান্স।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালান্স কোড (Banglalink Emergency Balance Code)
যখন সব সিমে ২ ভাবে নেওয়া যায় এই ইমারজেন্সি ব্যালান্স তখন বাংলালিংক সিম কেনো পিছিয়ে থাকবে। বাংলালিংক সিমেও ২ ভাবে নেওয়া যায় ইমারজেন্সি ব্যালান্স। ১ম উপায় আগের সিমের মতোই, মানে বাংলালিংক সিমের অফিসিয়াল এপ মাই বিএল এপ থেকে সরাসরি ভাবে নেওয়া। আর ২য় উপায় হলো কোডের মাধ্যমে। এর জন্য ডায়াল প্যাডে গিয়ে *874# এই কোড টি ডায়াল করুন। তাহলেই আপনি পেয়ে যাবেন বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালান্স। বাংলালিংক সিমে আপনি সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ কত পাবেন সেটা নির্ভর করে আপনি কেমন টাকা ব্যবহার করেন প্রতি মাসে।
সিক্টো ইমারজেন্সি ব্যালান্স (Siktto Emergency Balance)
সিক্টো সিমে আপনারা শুধুমাত্র ১ টি উপায়েই ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে পারবেন। এবং সেটা হলো সিক্টো সিমের অফিসিয়াল এপ ‘সিক্টো’ থেকে। এপ টি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। এপ টি ওপেন করে একটি নিচে নামলেই পাবেন ইমারজেন্সি ব্যালান্স নেওয়ার জায়গা। সেখান থেকে নিয়ে নিতে পারবেন আপনার সিমের ইমারজেন্সি ব্যালান্স।
আজ এই পর্যন্তই আশা করি যারা জানতেন না কোন সিমে কিভাবে ইমারজেন্সি ব্যালান্স নিতে হয়, তারা বুঝে গেছেন। প্রয়োজনে এই পোস্ট টি শেয়ার করে আপনার ফেসবুকের টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্ট টি পড়ার জন্য।