আর্টিকেল হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবাই একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখতে চাই। কিন্তু আর্টিকেল লেখার অভিজ্ঞতা না থাকায় একটি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারিনা। আর্টিকেল ছড়া একটি ওয়েবসাইটের কোনো মূল্যই নেই। আর আপনার ওয়েবসাইটে যদি গুগোল ফাস্ট পেজে নিয়ে আসতে চান তাহলে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর বিকল্প কিছু নেই।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?
একটি ভালো আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে জানতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হচ্ছে আপনার কনটেন্টটিকে গুগোল এর ফাস্ট পেজ রেঙ্ক করতে সাহায্য করে। গুগোল এ ফাস্ট পেজে এমন প্রথম পজিশনে থাকতে সাহায্য করে একটি সুন্দর এবং গুছানো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল। আশা করি কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রয়োজনীয়তা
আপনি ওয়েব ব্লগ সাইট বানালেন। এখন এই ওয়েবসাইটে আপনি অবশ্যই পোস্ট লিখবেন। কথা হচ্ছে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর কোথায় থেকে আনবেন। একটি ওয়েবসাইটের মৌলিক বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে আর্টিকেল। আর আমরা জানি গুগোল একটি সার্চ ইঞ্জিন এখানে কোটি কোটি সার্চ করা হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে ও গুগল থেকে মাসে প্রায় 30 থেকে 50 হাজার ভিজিটর আসে। এসব গুলো আসে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের জন্য।
আপনি একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখলেন এখন এটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুবর্ণ মাধ্যম হচ্ছে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে এবং গুগোল এ ফাস্ট পেজে রেংক করা। এতে আপনার ভিজিটর বাড়বে সাথে ইনকামও বাড়বে।
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন?
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। আপনাকে এমন ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। যেখানে কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম অনেক বেশি কিন্তু সার্চ ডিফিকাল্টি অনেক কম। নতুন ওয়েবসাইট এ ক্ষেত্রে 0 থেকে 10 ডিফিকাল্টি কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা।
কিওয়ার্ড পেয়ে গেলে সে গুলোকে একটি আর্টিকেল এর মধ্যে সুন্দরভাবে প্লেসমেন্ট করা। আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে গুছিয়ে এক থেকে দেড় হাজার ওয়ার্ড এর মধ্যে লেখা বা তারচেয়েও আরো বেশি ওয়ার্ড লিখা। তাহলে গুগোল আপনার পোস্টটি খুব দ্রুত রেংক করার সম্ভাবনা থাকবে।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার কৌশল
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা ট্রপিকস সিলেক্ট করা এমন আরও কিছু বিষয় খেয়াল রেখে একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখা যায়। সাথে আর্টিকেলে এসইও ফ্রেন্ডলি আরটিকেল হয়। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে যে যে বিষয় গুলো খেলা দেখে লিখতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
১.পোষ্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ।
২.কিওয়ার্ড খুজে বের করা এবং কিওয়ার্ড ঠিক ভাবে পোস্টের মধ্যে প্লেসমেন্ট করা।
৩.পোস্ট রিলেটিভ ইমেজ বানানো।
৪.সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা।
কিভাবে পোষ্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করবেন
পোষ্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করতে হলে আপনাকে আগে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কি নিয়ে পোস্ট লিখতে যাচ্ছেন। তারপর ওই বিষয়ের উপর গুগল সার্চ করে কয়েকটি আর্টিকেল দেখে নিবেন। এতে আপনার একটু ধারণা হবে আর্টিকেল সম্পর্কে। বিষয়বস্তু নির্ধারণ হয়ে গেলে একটি সুন্দর টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। আপনি বিষয়বস্তুটা যেন আকর্ষণীয় হয় এটা শুধুমাত্র টাইটেল উপর ডিপেন্ড করে মানুষ বা ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।
কিওয়ার্ড ও ইমেইজ কিভাবে দিবেন
বিষয়বস্তু নির্ধারণ হয়ে গেলে এবার কিওয়ার্ড এবং ইমেজ সিলেক্ট করতে হবে আপনি একটি পোষ্টের জন্য একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটি মেইন কিওয়ার্ড রেখে বাকি সব গুলোকে সাব কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। কীওয়ার্ড সিলেক্ট করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে ওই কিওয়ার্ডটির টাইটেলে ব্যবহার করতে হবে পোস্টের প্রথম প্যারায় ব্যবহার করতে হবে। তারপর সম্পূর্ণ আর্টিকেলে যত সংখ্যকবার সম্ভব কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।
কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট ঠিকভাবে হয়ে গেলে এখন আপনাকে আমরা আর্টিকেলে রিলেটেড কয়েকটি ইমেজ আপনার পোষ্টের মধ্যে ইনপুট করতে হবে। এটা আপনার পোস্টটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে। আপনার ইউজারা পোস্টটি পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। তাই আর্টিকেল এর মধ্যে ইমেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন সবসময়।
কি কি করতে হবে পোষ্টে
একটি আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে ট্রপিকস বের করতে হবে। তারপর আর্টিকেল থেকে প্যারা আকারে 1000 থেকে 2000 ওয়ার্ড লেখার চেষ্টা করবেন। আর পোস্টের মধ্যে H1,H2,H3 বা হেডিং ব্যবহার করবেন। পোস্ট রিলেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে তারপর পোস্ট দেয় যথাসম্ভব কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেল এর মধ্যে পোস্ট রিলেটেড কয়টি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।
কিভাবে সঠিক ট্যাগগুলো ব্যবহার করবেন
পোস্ট লিখার শেষে ট্যাগ দেওয়ার সিস্টেম থাকে। গুগোল সার্চ রেজাল্টে আসার জন্য পোস্ট রিলেটেড কয়েকটি ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। তবে পোস্ট রিলেটেড ট্যাগ ব্যবহার ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ টা ট্যাগ ব্যবহার করবেন আর বেশি ব্যবহার করা দরকার নেই। বেশি ট্যাগ ব্যবহার করতে যেয়ে ওয়েবসাইট প্লেলান্টি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ট্যাগ একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট কে রেংক করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিভাবে আপনার পোষ্ট গুগল সার্চে প্রথমে আনবেন
কিভাবে আপনার পোস্ট দেখে গুগলের সার্চ প্রথমে আনবেন। আপনি যে ট্রপিক্সে পোস্ট লিখছেন বা লিখবেন বা কিওয়ার্ড পোস্ট লিখবেন ঐ ট্রপিক বা কিওয়ার্ডটি গুগোল এ সার্চ করে দেখে নিন কোন কোন ওয়েবসাইট এই টপিকস বা কিওয়ার্ড রাঙ্ক করতেছে। হেরা কেমন টাইপ কত ভালো পোস্ট করেছে। এবার তাদের থেকে বেটার ভাবে আপনি আর্টিকেলটি লিখতে হবে। তাদের থেকে বেটার ভাবে লিখলেই এবং Seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে আপনার পোষ্ট গুগল সার্চে প্রথমে চলে আসবে। তার জন্য কিছু ব্যাকলিংক নিতে পারলে আরো ভালো হয়।
শেষ কথা
আর্টিকেল হচ্ছে ওয়েবসাইটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে seo friendly আর্টিকেল এর বিকল্প নেই। আর এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে কিভাবে তা আসা করি কিছুটা আইডিয়া দিতে পেরেছি।
আজ এই পর্যন্ত। ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ সম্পুর্ন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।