অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরিক্ষা সম্পর্কিত কিছু কথা

অনুগ্রহপূর্বক সম্পূর্ণ না পড়ে কেউ মন্তব্য করবেন নাহ।

কিছু কথা না বলে থাকতে পারলাম নাহ। পরিক্ষার রুটিন দেয়ার পর ফর্ম ফিলাপে “ডিসেম্বরে পরিক্ষা” এ বিষয়টা যেম্নে ভাইরাল হইছে,,, যে শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা/বোনেরা খুভ যত্ন করে সবার কমেন্ট এ কমেন্ট এ গিয়ে জানিয়েছেন যে, এই দেখো আগেই বলেছে পরিক্ষার কথা। এই বিষয়টাই যদি আপনারা চতুর সমাজ ফর্ম ফিলাপের সময় ই ভাইরাল করতেন বা স্পেশাল ভাবে হাইলাইট করতেন, বিশ্বাষ করেন আজ কেউ পরিক্ষার ডেট পিছানোর জন্য আন্দোলন করতোনা।

এখন বলবেন অন্যরা কেন খেয়াল করেনাই,,, কমন লজিক দিয়ে চিন্তা করেন,,,, আজ পর্যন্ত কয়জন স্টুডেন্ট ফর্ম ফিলাপের রিলিজ নোটিস পড়ছেন এই ৪ বছরে্‌, অনেকে তো এমন আছে ফর্ম ফিলাপের নোটিশ(জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের) চোখেই দেখেনা।ডিপার্ট্মেন্টের নোটিশের উপর নির্ভরশীল। এইগুলা সম্পূর্ণই ডিপার্ট্মেন্ট এর দায়িত্ব,,,,। আরে আমরা ছাত্ররা কেন, ডিপার্ট্মেন্ট ই সেই নোটিশে পরিক্ষার ব্যাপার খেয়াল করেনাই।

নভেম্বর ১২ তারিখের কথা,,, আমি ডিপ্ট এর এক সিনিয়র প্রফেসর কে ফোন দিয়ে বললাম স্যার, পরিক্ষা কবে হতে পারে আমাদের,,,,? উত্তরে পেলাম –
– আরে ২য়, ৩য় বর্ষ তো পরেই আছে, তোদের তো ফর্ম ফিলাপের ডেট আবার বাড়িয়ে দিয়েছিল ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহ/মার্চ ধরে রাখ।

এই হলো অবস্থা্‌, পরবর্তীতে রুটিন প্রকাশের পর বললাম, বল্লো তিনি তার ২৫ বছর চাকুরি জীবনে এমন কখনো দেখেননি যে, ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষা আগে হয়েছে।
সেখানে আমারা কি করতে পারি,, ছাত্রসমাজকে কেন দোষারোপ করা হচ্ছে?
আমি খোজ নিয়েছি,,, আপনিও খোজ নিয়ে দেখেন, শুধুমাত্র হাতে গোনা চট্টগ্রামের কয়েকটা কলেজ ব্যাতিত আর অন্য অন্য কিছু কলেজ ব্যাতিত কোনো কলেজ এই ফর্মফিলাপের সময় বলে দেয়নি যে, তোমাদের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পরিক্ষা হবে। এই বিষয়ে অবগত ছিলো শতকরা হয়তো ২০%। সিংহভাগ মানুই এ বিষয়ে অজ্ঞ্যাত ছিল।

আমি বলছিনা যে, ডিসেম্বরে পরিক্ষা হওয়া উচিত হইনি, পরিক্ষা তাড়াতাড়ি হলে অনেক এডভান্টেজ পাবো আমরা। পিছালেও অনেকের সমস্যা,,, অনেকেই হয়তো খুব পরিশ্রম করে প্রিপারেশন নিচ্ছেন/নিয়েছেন।
শুধু একটাই কথা বলবো যে, যদি ফর্ম ফিলাপে উল্লেখিত পরিক্ষা সম্বন্ধিত ব্যাপারটা যদি হাইলাইট করা হইতো, নতুবা, জাবি থেকে যদি ফর্ম্ফিলাপের নোটিশের সাথেই আলাদা ভাবে একটা নোটিশ প্রকাশ করতো যে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে/ডিসেম্বরে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তবে আজ কেউ ই এর বিরোধিতা করতোনা, সবাই পর্যাপ্ত সময় নিয়ে স্ট্রেস ফ্রি ভাবে প্রিপারেশন নিতে পারতো।

জাবির এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিল। ৪র্থ বর্ষ কোনো ছেলেখেলা নয়, এখানে একটি ভুল ১টা বছর নষ্ট করে দেয়, ২য়/৩য় বর্ষের মতন নয় যে, সামনের বছর ইম্প্রুভ দিলাম হয়ে গেল।

পোস্ট ক্রেডিটঃ রানা হোসাইন

Share the article..

Leave a Comment