লজ্জাবতি বউ একটি মিষ্টি ভালোভাসার গল্প
★★→=প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন
=ছাড়ব না।তুমি আগে একটা ইয়ে দেও
=আমি দিতে পারব না
=দিবে না তুমি?
=না
=আচ্ছা ঠিক আছে তোমার দিতে হবে না বলেই আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে আমার ফোন আর মানিব্যাগ নিয়ে বাইরে যাবো এমন সময়
=এই আপনি কোথায় যাচ্ছেন
=বাইরে
=কোথায়
=এক ফ্রেন্ড এর বাসায়
=কেন?
=সে আমাকে অনেক পছন্দ করে তাই তার কাছে যাচ্ছি মিম এবার লাফ দিয়ে আমার সামনে এসে দাড়াল
=কেন আপনি সেখানে যাচ্ছেন কেন?(মিম)
=ইয়ে খেতে
=কেন আপনি তার কাছে কেন যাবেন?
=তুমিতো আমায় ইয়ে দিবেনা তাই আমি তার কাছেই যাই সেটা ভালো
=না না আপনি যাবেন না।আমি আপনায় ইয়ে দেব কিন্তু দিনে একটা
=দিনে একটা মানে বছরে ৩৬৫ টা।থাক তার চেয়ে ভালো আমি ওর কাছেই যাই ও আমাকে মাসে অন্তত ৩০০ টা দিবে
=আচ্ছা ঠিক আছে দিনে ৫ টা তার বেশি না
=আচ্ছা ঠিক আছে এখন তাহলে দেও এই আপনারা একটু ঘুরে দাড়ান আমার লজ্জা লাগছে।
কিছুদিন পর…
রাতে আমি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আমার ছোট ভাগনীর সাথে একটু কথা বলছি।তার এবার ৫ বছর বয়স।এমন সময় মিম চুপি চুপি আমার পিছে এসে দাড়াল।আমি টের পেয়েও না বুঝার ভান করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
=আচ্ছা আমি রাখি এখন
=ঠিক আছে মামা
=আমার আদরটা দিবেনা?
=উম্মাহ
=I LOVE U
=I LOVE U TOO মামা
=আচ্ছা পরে কথা হবে।
বলেই ফোন্টা কেটে দিলাম।আমি ইচ্ছা করে ওর সাথে এমন করে কথা বলছিলাম কারন আমি জানি ও আমার ভাগনীর কন্ঠ শুনতে পারিনি।
লজ্জাবতি বউ একটি মিষ্টি ভালোভাসার গল্প
আর আমি যা বলেছে সেটা মানুষ শুনলে একটু ভুল বুঝতেই পারে।আর আমি সেটাই চেয়েছিলাম।আমি পিছনে ঘুরতেই মেয়েটাকে দেখে একটু ভয় পাওয়ার ভান করলাম।মেয়েটার চোখ লাল হয়ে আছে
=কি ব্যাপার তুমি এখানে?কখন আসলে?একবার বলবে না।(আমি)
=কার সাথে কথা বলছিলেন?(মিম)
=কই কেও নাতো
=মিথ্যা বলবেন না আমি শুনেছি
=কি শুনেছো?
=আপনি ফোনে কাকে যেন I love u বললেন আবার একটা ইয়েও খেলেন কে মেয়েটা?
=ছিল একজন।কেন তোমার জ্বলছে?
=জ্বলবে না কেন?আমার ভালোবাসার মানুষ অন্য কাউকে ভালোবাসি বললে আমার কি জ্বলবে না?
আমি এবার পাশের একটি সোফায় বসে মিম কে আমার কোলে টেনে বসালাম।মেয়েটা কোনো বাধা দিল না।
=তার মানে আমার পাগলীটা আমাকে ভালোবাসে
=হুম(মাথা নিচু করে)
=তাহলে আমার থেকে এতো দূরে থাক কেন?
=লজ্জা লাগে।কিন্তু তাই বলে আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসবেন? আমি ওর মাথা আমার বুকে রেখে দিয়ে বললাম
=আরে পাগলী ওটা আমার ছোট ভাগনী ছিল।
=আমি বিশ্বসাস করি না
=আরে পাগলী ওটা আমার ছোট ভাগনী ছিল।
=আমি বিশ্বসাস করি না
=আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমায় কল রেকর্ড শোনাচ্ছি- আমার ফোনের অটো রেকর্ড চালু আছে।আমি সেটা ব্যাবহার করলাম।তার পর সে একটু শান্ত হোলো।
=সরি
=কেন
=আপনাকে সন্দেহ করার জন্য
=এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে
=কি শাস্তি (একটু ভয় পেয়ে)
=আজ থেকে আমি তোমার সাথে খাটে শোব আর তুমি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে
=না এটা হয়না
=আচ্ছা তাহলে আমি যাই
=কোথায়?
=সেই ফ্রেন্ড এর বাসায়
=মেরে ফেলব
=কাকে?
=আপনাকে
=কিভাবে?
=এভাবে
বলেই আমার ঠোটে ভালোবাসার ছোয়া দিয়ে দিল।আমি ওকে কোলে তুলে বেডরুমে নিয়ে গেলাম।আর বাকিটা ইতিহাস।
এভাবেই মেয়েরা যতো যাই করুক না কেন।তারা তাদের ভালোবাসার ভাগ কাউকে দিতে রাজি থাকে না।আর আমি আমার ভাইদের কাছে এটাই আশা করব তারা যেন তাদের ভালোবাসার ভাগ শুধু একজনকেই দেয়।এবং কক্ষনো তাকে যেন কষ্ট না দেয়।