ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা ও উপকারীতা

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার এর তালিকা এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

আপনারা সকলেই জানেন প্রতিটা ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য জরুরি। সেটা হোক ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কিংবা অন্যান্য ভিটামিন। যেটাই হোক সেগুলো কিভাবে কাজ করে সেটা না জানলেও আমরা এটা অন্তত জানি যে, শরীরের জন্য প্রতিটা ভিটামন কতটা গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়।

আমরা প্রতিদিন এর খাদ্য উপাদান হয়তো বা প্রায় সব রকম ই ভিটামিন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি কিংবা মিনিমাম কয়েকটা করি। কিন্তু আমরা যদি যানি যে কোনটা কী ভিটামিন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আমরা সেগুলোকে নিজেদের প্রতিদিন এর খাদ্য উপাদানে রাখতে পারবো। তো এর জন্য আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের জন্য কয়েকটি ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা নিয়ে এসেছি। আর এই তালিকা তে যে খাদ্য গুলো থাকবে সেগুলো হবে অনেকটা কমন খাদ্য। যা আমরা মাঝে মাঝেই হয়তো খেয়ে থাকি।

ভিটামিন এ প্রতিটা গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী নারীদের ভিটামিন এ এর ঘাটতি অনেকটা ক্ষতিকারক। তাই গর্ভবতী নারীদের স্পব সময় ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও ত্বক ও চোখের আদ্রতা বজায় রাখতেও ভিটামিন এ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ।

তো চলুন আমরা জেনে নেই ভিটামিন এ জাতীয় কয়েকটি খাবার এর তালিকা।

ভিটামিন এ জাতীয় খাবার

আমাদের প্রতিদিন এর খাবারের মধ্য কমন কয়েকটি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো এর মধ্যে রয়েছে গাজর, গরুর কলিজা, সরিষার শাক, ব্রোকলি লেটুস পাতা, টমেটো, আম, আঙুরের রস, টার্কির কলিজা ও আরও অনেক খাদ্য। নিম্নে এগুলোর বিস্তারিত জেনে নিই।

গাজর: আপনাকে প্রতিদিন ৪০% ভিটামিন এ দিতে পারে একটি মাঝারি সাইজের গাজর। গাজর একটি শুষ্ক খাদ্য। এটা আমরা হাটা হাটি কিংবা যে কোনো কাজের ফাকে আস্তে আস্তে খেতে পারি। যদি একটি গাজর আপনাকে ৪০% ভিটামিন এ দিয়ে দেয় তাহলে খেতে মানা কেনো। এখন থেকে প্রতিদিন কম করে একটি হলেও গাজর খাওয়ার চেষ্টা করুন।

গরুর কলিজা: প্রতি ০.১০০ কিলোগ্রাম অর্থাৎ ১০০ গ্রাম গরুর গোস্ত এর কলিজাতে প্রয়োজনের তুলনায় ১০০০% বেশি ভিটামিন এ দিতে সক্ষম। তারপরেও আমি প্রতি বেলা কিংবা প্রতিদিন খাওয়ার জন্য সাজেস্ট করবো না। তবে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কিংবা সপ্তাহে ১ দিন বা মাঝে মাঝে এটা খাওয়া ভালো। তবে প্রতিদিন খাওয়া ঠিক হবে না।

পালং শাক: শাক – সবজি এমনি তেই ভিটামিন এ ভরপুর। তাহলে পালং শাক কম যাবে কেনো। প্রতি এক কাপ পালং শাক এ রয়েছে শরীরের জন্য ১৫% ভিটামিন এ। শাক সবজি খাওয়া ভালো। প্রতিদিন না হলে মাঝে মাঝে পালং শাক খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আম: আম খেতে কে না পছন্দ করে! আম সবার পছন্দ। যদিও কিছু কিছু অঞ্চল ছাড়া সব যায়গা সব সময় আম পাওয়া যায় না। তাবে আমের সিজন তো প্রায় শুরু হয়ে গেছে। সামনের মাস থেকেই শুরু হবে আমার মেলা। সবাই আম বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আম থেকে শরীরের জন্য ২০% ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

মিষ্টি আলু: একটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ২০০% এর ও বেশি ভিটামিন এ থাকে। এটা সবাই খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

বাঁধাকপি: বাধাকপিতেও আছে ভিটামিন এ। বাধাকপি তে ১০০% ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

বাটার: প্রতিদিন এর ভিটামিন এ এর মধ্য ১ চামচ বাটার আপনাকে ১০% ভিটামিন এ দিতে সক্ষম।

দুধ: দুধ এ আপনারা প্রোটিন এর পাশা পাশি ভিটামিন এ ও পাবেন। প্রতি ১ কাপ এ ২% ভিটামিন এ পাওয়া যায় দুধ থেকে।

তো এগুলো ছিলো ভিটামিন এ জাতীয় খাবার। তবে আপনারা কী জানেন যে ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের উপকারীতা গুলো কী কী? জানেন না তো? যদি না জানেন তাহলে নিচের পার্ট টুকু পড়ুন আশা করি তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের উপকারীতা গুলো।

ভিটামিন এ এর উপকারিতা

ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের নানা উপকারীতা রয়েছে। নিম্নে আমরা সেগুলো জানবো।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। যে সব কারণে রোগ হয়ে থাকে আমাদের শরীরে আগে থেকেই সেগুলো নিরাময় করার জন্য কাজ করতে থাকে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার। অনেকটা বলা ভ্যাক্সিনের মতো।

দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে

দৃষ্টি শক্তি প্রখর করতে যদি কোনো ভিটামিন আপনাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করে সেটা হলো ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তিকে পরিবেশ এর সাথে খাপ খাইয়ে রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নেঃ

আমাদের ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে থাকে ভিটামিন এ। আমাদের ত্বকে কোনো প্রকার ক্ষতি হওয়ার হাত থেকেও ভিটামিন রক্ষা করে থাকে।

ব্রণের ঝুঁকি হ্রাস করে

ভিটামিন এ আমাদের ত্বকের কোষ গুলো কে শক্তিশালী করে তোলে ফলে আমাদের ত্বকে ব্রণের ঝুকি অনেকটা কমে যায়।

এছাড়াও ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো প্রজনন ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখে। আমাদের শরীরে নানা প্রকার ক্যান্সার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের হাড় কে ও মজবুত করতে এটা বেশ সাহায্য করে।

তো বন্ধুরা আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

Share the article..

Leave a Comment